মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান কারা কর্তপক্ষের কাছে তার দুটি ইচ্ছে পূরণের দাবি করেছেন। প্রথম ইচ্ছেটি হচ্ছে, ফাঁসির পর তার লাশ গোসল না করিয়েই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা। দ্বিতীয় ইচ্ছেটি হচ্ছে, শুক্রবারে যেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তবে তার এ আবদার হয়তো পূরণ নাও হতে পারে।
বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আখেরুল ইসলাম কামারুজ্জামানের দুটি শেষ ইচ্ছের কথা জানান।
তিনি জানান, ‘বিচারপতিদের সর্বশেষ স্বাক্ষর করা নীল কপি কারাগারে আসা মাত্রই তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে নিয়ম অনুযায়ী তা প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসির যে সময় বেঁধে দেবে সেই অনুযায়ী ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ভাবেই সময় ক্ষেপণ করবে না বলে আগেই জানিয়েছেন।’
কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার পর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে লাশ সরাসরি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। শেষ রাতের দিকে করা নিরাপত্তায় তার লাশ দাফন করা হবে।
Leave a Reply